যুক্তিকে হার মানানো কিছু অমিমাংসিত রহস্য
যুক্তিকে হার মানানো কিছু অমিমাংসিত রহস্য। রহস্য, রোমাঞ্চ, অশরীরীর অহর্নিশ ডাক যেন চমকে দেয় মনুষ্য হৃদয়। কিন্তু এই চমককে উপভোগ করেন না, এমন মানুষের সংখ্যা নিতান্তই স্বল্প।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আদমশুমারির অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুসারে সমগ্র পৃথিবীতে বিচরন করছে প্রায় ৭ বিলিয়ন মানুষ।
এ সকল মানুষের মাঝে অমূলক ভয়, ভ্রান্ত বিশ্বাস, কুসংস্কার এর কিন্তু অভাব নেই । তাদের মাঝে প্রচলিত রয়েছে নানা উপকথা ও আচারও।
যুক্তিকে হার মানানো কিছু অমিমাংসিত রহস্য।For More News Update:
ভ্যাম্পায়ার বা রক্তচোষা, প্ল্যানচেটের মাধ্যমে আত্মার সাথে সম্পর্ক উপস্থাপন, ভাগ্য গণনা, ভবিষ্যৎ বলা, সঙ্কেত লিপির পাঠোদ্ধার নানা কিছুর প্রচলন রয়েছে যা ব্যাখ্য করা যৌক্তিকভাবে সত্যিই কঠিন।আজ আপনাদের শোনাবো এমন কিছু ঘটনা যাকে যুক্তির আখরে বাঁধা সম্ভব নয়।
চলুন তবে শুরু করা যাক-
কবর হতে চার্লস ডিকেন্স এর কথা বলাঃ
৫৮ বছর বয়সে যখন চার্লস ডিকেন্স মারা যান, তখন তিনি একটি নতুন উপন্যাস রচনায় কঠোর পরিশ্রম করছিলেন।
উপন্যাসটি-‘দ্য মিস্ট্রি অব এডভিয়ান ড্রউড’নামে পরিচিত ছিলো।
গল্পটি একটি হত্যাকাণ্ডের রহস্যকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিলো। দুর্ভাগ্যবশত, বইটি লেখা শেষ হওয়ার আগেই ডিকেন্স মারা যান।
চার্লস ডিকেন্স জুনিয়র সহ অনেকেই উপন্যাসটির সমাপ্তি সংস্করণ বের করার প্রচেষ্টা চালালেও কেউ উপন্যাসটির সফল পরিসমাপ্তি ঘটাতে পারেনি।
চার্লস ডিকেন্স
১৮৭৩ সালে ভার্মন্টের ছাপাখানার কারিগর চার্লস ডিকেন্সের অপ্রকাশ্য উপন্যাসটির এক অদ্ভুত সংস্করণ বের করেন। টমাস জেমস নামক ব্যক্তিটি দাবি করে যে চার্লস ডিকেন্স নিজে তাকে কবর হতে নির্দেশনা দেন বইটি সমাপ্ত করার।
গল্পটি শেষ করতে জেমস এক অদ্ভুত হস্তাক্ষর (যা না তার নিজের না মৃত চার্লস ডিকেন্সের) এর উদ্ভব ঘটান।
অনেক মানুষ জেমসকে প্রতারক বলে উপেক্ষা করলেও বইটি শেষ হওয়ার পরে যুক্তরাষ্ট্রে ভালোই জনপ্রিয় হয়েছিলো, বরং যুক্তরাজ্যে এর জনপ্রিয়তা কম ছিলো।
যা-ই হোক, আর্থার কোনান ডয়েলের মতো আধ্যাত্মিকরা জেমসকে সমর্থন দিয়েছিলেন, তিনি বিশ্বাস করতেন যে তিনি প্রকৃতপক্ষে মৃত লেখকের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন।
বিস্ময়কর হলেও সত্য, টমাস জেমস অনেক লাভজনক অফার পাওয়া সত্ত্বেও আরেকটি বই লিখতে পারেন নি।চার্লস ডিকেন্স
১৮৭৩ সালে ভার্মন্টের ছাপাখানার কারিগর চার্লস ডিকেন্সের অপ্রকাশ্য উপন্যাসটির এক অদ্ভুত সংস্করণ বের করেন। টমাস জেমস নামক ব্যক্তিটি দাবি করে যে চার্লস ডিকেন্স নিজে তাকে কবর হতে নির্দেশনা দেন বইটি সমাপ্ত করার।
গল্পটি শেষ করতে জেমস এক অদ্ভুত হস্তাক্ষর (যা না তার নিজের না মৃত চার্লস ডিকেন্সের) এর উদ্ভব ঘটান।
অনেক মানুষ জেমসকে প্রতারক বলে উপেক্ষা করলেও বইটি শেষ হওয়ার পরে যুক্তরাষ্ট্রে ভালোই জনপ্রিয় হয়েছিলো, বরং যুক্তরাজ্যে এর জনপ্রিয়তা কম ছিলো।
যা-ই হোক, আর্থার কোনান ডয়েলের মতো আধ্যাত্মিকরা জেমসকে সমর্থন দিয়েছিলেন, তিনি বিশ্বাস করতেন যে তিনি প্রকৃতপক্ষে মৃত লেখকের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন।
বিস্ময়কর হলেও সত্য, টমাস জেমস অনেক লাভজনক অফার পাওয়া সত্ত্বেও আরেকটি বই লিখতে পারেন নি।
কুখ্যাত সেতু
কিংবদন্তি রয়েছে যে, যারা আত্মহত্যার জন্য এই ব্রিজটিকে বেছে নেয়, মৃত্যু পরবর্তী জীবনে তাদের আত্মা প্রবেশ করতে পারে না।কলোরাডো ব্রীজের আশেপাশেই তারা প্রেতাত্মা হয়ে ঘুরে বেড়ায়।
জন শ্রুতি রয়েছে ব্রিজের উপরে প্রায়ই চকচকে চশমা পরা কোনো লোককে ভেসে বেড়াতে দেখা যায়। তার সঙ্গে আলখাল্লা পড়া এক লম্বা মহিলাকে দেখা যায় যে ব্রিজ থেকে ঝুলে পড়ছে।
বার বার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি বলে প্রতি রাত্রেই দেখতে পাওয়া যায়। এমনও শুনতে পাওয়া চকচকে চশমা পরা লোকটি নদী তটে হেঁটে বেড়ানো অবস্থায় অন্য পথচারীদের আত্মহত্যায় প্রলোভিত করে।
নিউজিল্যান্ড এর মাওরিঃ
নিউজিল্যান্ডের মাওরি জাতির উত্থান ও অবস্থানের এক নৃশংস ইতিহাস রয়েছে। এই যোদ্ধা সম্প্রদায় তাদের প্রসারিত সম্মুখের উল্কি এবং নরখাদক হিসেবে পরিচিত এবং বাহ্যিকভাবে তাদেরকে নির্ভীক মনে করা হয়।
কিন্তু মাওরি জাতি- `মাওরো` নামক বন্য মানুষের ভয়ে সন্ত্রস্ত হয়ে ঘন জঙ্গলে বসবাস করে।
মাওরো এর চেহারার বর্ণনা সম্পর্কে বলা হয়, তাদের সম্পূর্ণ দেহ ঘন চুলে আচ্ছাদিত এবং লম্বা আঙ্গুল গুলো বর্শার মতো।
যা দিয়ে তারা শিকারকে বিদ্ধ করে এবং কাঁচা মাংস ভক্ষন করে।
মাওরোরা হিউম্যানয়েড বা অতি প্রাকৃত দ্বিপদী জন্তু বিশেষ যেমনটি প্রচিলত রয়েছে ইয়েতি ও সাস্কোয়্যাচ সম্পর্কে।
টুকোও
মাওরি লোককাহিনীতে টুকোও নামে এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ রয়েছে যিনি ‘মাওরো’ দ্বারা আক্রান্ত হন।টুকোই মাওরোর সাথে যুদ্ধ করে, তার অঙ্গগুলো ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করে ফেলে এবং নির্মমভাবে শিরচ্ছেদ করে।
কাটা মাথাটি নিয়ে গ্রামে ফিরে আসার পথে, মাওরির কাটা মাথা চিৎকার করে উঠে, ‘প্রিয় সন্তানেরা, আমাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে!’ টুকোও ভয় পেয়ে কাটা মাথা ছুড়ে ফেলে গ্রামে পালায়।
পরবর্তীতে, সে এবং তার গ্রামের অন্যান্য লোক ফিরে এসে আবিষ্কার করে যে, কাটা মাথার সাথে অবশিষ্টাংশগুলো নিখোঁজ হয়ে গেছে।কথিত আছে যাদুবলে নিজের দেহকে জীবিত করে মাওরো পালিয়ে যায়।
লাভ ল্যান্ড ফ্রগসঃ
আপনাদের মধ্যে অনেকেই কারমিট দ্য মাপেট নামক ব্যঙ্গের কার্টুন দেখে থাকবেন। কিন্তু কেউ কি কখনো ৩ ফিট লম্বা কোনো ব্যাঙের কথা কল্পনা করেছেন?
এমন এক ব্যাঙ মানবের কথা শুনতে পাওয়া যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওহায়ো অঞ্চলের লাভ ল্যান্ডের অরণ্যে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওহায়ো অঞ্চলের লাভ ল্যান্ডের অরণ্যে
ঘটনা ১৯৫৫ সালের কোনো এক রাতের, যে রাতে ব্রীজের নীচে এক ভয়বহ ব্যাঙ মানবের অস্তিত্বের আভাস পান এক পথচারী।
তার চামড়া ছিলো কুঁচকানো ও ভাজ পড়া, ও হাতে ছিলো এক জাদু দণ্ড যার অগ্রভাগ হতে আগুন ঝিলিক মারছিলো। এই দৃশ্য দেখে পথচারীর ভয়ে সংজ্ঞা লোপ পায়।
বছর জুড়ে প্রশাসনের কাছে এমন অনেক ঘটনার খোঁজ আসতে থাকে।১৯৭৩ সালের ৩ মার্চ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক সদস্য লিটল মায়ামী নদীর ব্রিজের ধারে এমন এক ঘটনার সম্মুক্ষীন হন।
তারপর সেখান থেকে পালিয়ে এসে থানায় মার্ক ম্যাথুস নামে আরেকজন অফিসারকে নিয়ে তদন্ত স্বার্থে ঘটনা স্থলে ফেরত যায়।
দুই জন পুলিশ অফিসার থানায় এসে রিপোর্ট করেন তারা ব্রিজের ধারে আঁচরের দাগ খুঁজে পান। পরবর্তী এক সপ্তাহ পরে অফিসার ম্যাথুস আবার পথের ধারে ব্যাঙ মানবের দেখা পান।
তিনি ব্যাঙ মানবকে বন্দী অথবা আহত করার লক্ষ্যে গুলি ছোঁড়েন। কিন্তু ব্যাঙ মানবকে ডেকাতে ব্যর্থ হন।
এদিকে ম্যাথিউসের কথা অবিশ্বাস পূর্বক সকলে তাকে উপহাস করা শুরু করলে তিনি তার মতামত পাল্টে বলেন যে তিনি হয়তো বৃহৎ আকারের ইগুয়ানা দেখেছেন।
নীল গর্তঃ
নিউ জার্সির বিরাট পাইন বনে ঘেরা এলাকাকে রহস্যের কেন্দ্র ভূমি বলে উল্লেখ করা হয়। হাজারো রহস্য ঘেরা জায়গার মতই এক অদ্ভুতুড়ে স্থান উইন্সলো টাউনশিপের নীল গর্ত।
এটি ঘন মরুভূমির মধ্যে অবস্থিত, যদিও এলাকার সমস্ত জলাভুমির পানির রঙ বাদামী এবং নীল। গর্তের পানির রঙ স্ফটিকের মতো নীল। গ্রীষ্মের প্রচন্ড খরতাপেও, নীল গর্তটিতে শীতল পরিবেশ বিদ্যমান।
যুক্তিকে হার মানানো কিছু অমিমাংসিত রহস্য।Visit our YouTube Chanel:
নীল গর্ত
কিংবদন্তী রয়েছে নীল গর্তের কোনো তল নেই ও সেখানে কোনো বিপজ্জনক উপদ্রব রয়েছে; সাঁতারুরা সেই গভীরতায়
সাঁতার কাটতে গিয়ে ঘূর্ণায়মান পানির আড়ালে হারিয়ে যায়।
এমনকি কোনো পশু নিখোঁজ হলেও, তার খোঁজ পাওয়া যায় না।
জনশ্রুতি রয়েছে এখানে কুখ্যত জার্সি শয়তানের বসবাস। যে তার আবাসের কাছে কাউকে গেলেই হত্যা করে নিজের ক্ষুধা মেটায়।
নিখোঁজদের খোঁজে প্রশাসন শিকারি ও তদন্তকারীদের পাঠালে তারা নিখোঁজ হয়ে যায়। পরবর্তীতে প্রশাসন সেই এলাকাকে সংরক্ষিত স্থান বলে ঘোষণা করে।
এমন আরো অমীমাংসিত রহস্য নিয়ে আবারো আমরা ফিরবো আপনাদের মাঝে। ততদিন আমাদের সাথেই থাকুন।
মাত্র ১১ মিনিটে যাওয়া যাবে লন্ডন থেকে নিউ ইয়র্ক। গ্লোবাল নিউজ।