বরফের তৈরি হোটেল, হাওয়া গ্রীষ্মকালে।

0
বরফের তৈরি হোটেল, হাওয়া গ্রীষ্মকালে।

বরফের তৈরি হোটেল, হাওয়া গ্রীষ্মকালে।

বরফের তৈরি হোটেল, হাওয়া গ্রীষ্মকালে।ইট-সিমেন্টের হোটেল তো আছেই! সমুদ্রের তলদেশে অত্যাধুনিক হোটেল কিংবা মাটির নিচে হোটেলের কথাও শোনা যায়। কিন্তু বরফের তৈরি হোটেলের কথা শুনেছেন কি? মেঝে থেকে শুরু করে হোটেলের ছাদ, চারপাশের দেয়াল, টেবিল, চেয়ার সব কিছুই তৈরি বরফ দিয়ে! এমনকি হোটেলের বাথরুমও বরফের তৈরি। অবাক হচ্ছেন? এমনই এক বরফের হোটেলের দেখা মিলবে সুইডেনে।

 

বরফের তৈরি হোটেল, হাওয়া গ্রীষ্মকালে।

এই হোটেলের নাম ‘আইস হোটেল’। সুইডেনের জুক্কাসজারভিতে হোটেলটির অবস্থান। ১৯৮৯ সালে হোটেলটি নির্মাণ করা হয়। হোটেল কর্তৃপক্ষের দাবি, এটিই বিশ্বের প্রথম বরফের তৈরি হোটেল। মূলত শীত মৌসুমে গড়ে তোলা হয় এই অত্যাধুনিক হোটেল। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত চালু থাকে। প্রতি মৌসুমে নতুন করে ডিজাইন করা হয় হোটেলটিতে। এপ্রিলের শেষের দিকে কিন্তু আবার খুঁজে পাওয়া যাবে না হোটেলটির অস্তিত্ব। সেসময় বরফ গলে মিলিয়ে যাবে নদীর সঙ্গে।
হোটেলটিতে বেশ কয়েকটি কক্ষ রয়েছে। একেকটি কক্ষের আবার বাহারী সব নাম। যেমন এ মিডসামার নাইটস ড্রিম; এই রুমের সবকিছুই রাজকীয়। বসন্তে যেসব ফুল ফোটে সেসব দিয়েই বানানো হয়েছে এই কক্ষ। এই কক্ষ জানান দেয় বসন্ত আসছে। এ ছাড়াও ড্রিমস অব পেন্সিল, আর্লি স্প্রিং, হোম নেচার, লস্ট এন্ড ফাউন্ড নামে যে কক্ষগুলো রয়েছে সবগুলোই ভিন্ন। নামের সঙ্গে মিলিয়ে করা হয়েছে ডিজাইন। এই মৌসুমে হোটেলটিতে রয়েছে ৩৩টি রুম এবং ১৪টি এপার্টমেন্ট।

 

বরফের তৈরি হোটেল, হাওয়া গ্রীষ্মকালে।

আইস হোটেলের রুমগুলোতে থাকার জন্য বিশেষ এক ধরনের ব্যাগ দেয় কর্তৃপক্ষ। এখানে তাপমাত্রা সবসময় মাইনাস ৫ ডিগ্রির নিচে থাকে। সবসময় গরম কাপড় পরে থাকতে হয়। হোটেলটিতে রয়েছে তিন ধরনের প্যাকেজ। রয়েছে আই বার্থডে প্যাকেজ। এই প্যাকেজের মাধ্যমে কারও জন্মদিন কিংবা বিয়েসহ অন্যান্য অনুষ্ঠান করা যাবে। রয়েছে ডিনার প্যাকেজ। ডিনার করতে চাইলে অবশ্য যেতে হবে রাত ১১টার মধ্যে। এ ছাড়াও শীতকালে থাকার জন্য মিলবে বিভিন্ন ধরনের প্যাকেজ। থাকতে খরচ পড়বে প্রতি রাত বাংলাদেশি টাকায় ৫০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা। আগে ওয়েবসাইটে বুকিং করতে হবে। ফেসবুক পেজে মেসেজ দিলেও মিলবে সেবা। আইস হোটোলে পানীয় পানের জন্য প্রতি মৌসুমে ৫০ হাজার বরফের গ্লাস তৈরি করে কর্তৃপক্ষ। তাছাড়া এখানে প্রচুর শীতে জমে যাওয়ার ভয় নেই।

অজান্তেই পেটে যাচ্ছে প্লাস্টিক। গ্লোবাল নিউজ।d

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *