প্রতিদিন ১ কেজি কাদা না খেলে ঘুম আসে না!

0
প্রতিদিন ১ কেজি কাদা না খেলে ঘুম আসে না!

প্রতিদিন ১ কেজি কাদা না খেলে ঘুম আসে না!

প্রতিদিন ১ কেজি কাদা না খেলে ঘুম আসে না!কারু পাসওয়ান, বয়স একশ। ভারতের ২৮তম প্রদেশ ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জের বাসিন্দা। ১৯১৯ সালে জন্ম হয় তার। ভারতীয় গণমাধ্যম বলা হয়, ঝাড়খণ্ডের এই বৃদ্ধ প্রতিদিন নিয়ম করে কাদা খান। এক কিলোগ্রাম করে কাদা না খেলে ঘুম আসে না তাঁর। বৃদ্ধের এই কাদা খাওয়া দেখতে দূরদূরান্তের মানুষের ঢল নামে তাঁর বাড়িতে।

 

প্রতিদিন ১ কেজি কাদা না খেলে ঘুম আসে না!For More News Update:

 

কারু পাসওয়ান জানান, তাঁর এগারো বছর বয়স থেকেই এই কাদা খাওয়ার অভ্যাস হয়েছে। এতদিনে সেই অভ্যাস পরিণত হয়েছে নেশায়। কাদা খাওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছোটবেলা থেকেই খিদের জ্বালায় পেট ভরাতে কাদা খেতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। তাঁর শৈশব কেটেছে খাবারের খোঁজ করতে করতে।

 

খাবার না পেয়ে কাদা খেয়ে পেট ভরাতে হত তাঁকে। অভাবের সংসারে খাওয়ার মুখ থাকে অনেক। তাই এক টুকরো রুটি ভাইবোনের মুখে তুলে দিতেন এগারো বছরের কারু। আর নিজের পেট ভরাতেন কাদা খেয়ে।

এরপর দারিদ্রের চাপ আরও বেড়েছে। দশটা ছেলে-মেয়ের মুখে ভাত তুলে দিতে গিয়েও, পেট ভরাতে কাদা খেতে হয়েছে তাঁকে। সন্তানদের কোনও দিন হাত দিতে দেননি তাতে। নিজেই কাদা খেয়ে পেট ভরিয়েছেন দিনের পর দিন।

 

প্রতিদিন ১ কেজি কাদা না খেলে ঘুম আসে না!Visit our YouTube Chanel:

 

তিনি জানিয়েছেন, “এইভাবে আর্থিক অনটনের মধ্যে চলতে চলতে হতাশ হয়ে নিজেকে শেষ করার জন্যই আরও বেশি করে কাদা খেতেন তিনি। এখন পেটভরা ভাত খেতে পাই ঠিকই, কিন্তু এক কিলোগ্রাম কাদা না খেলে ঘুম হয় না।” এই নেশা করেও এই বৃদ্ধ সুস্থভাবেই বেঁচে রয়েছেন।

 

কারুর বড় ছেলে সিয়া রাম পাসওয়ান জানিয়েছেন, পরিবারের লোকেরা তাকে অনেকবার এর থেকে বিরত করার চেষ্টা করেছেন, কিন্তু পারেননি। যে ভাবেই হোক মাঠ ঘাটে ঘুরে কাদা তুলে খেয়ে ফেলেন তিনি।

 

২০১৫ সালে বিহারের সবর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এই বিরল খাদ্যাভ্যাসের জন্য তাকে বিশেষ সম্মানে সম্মানিত করেছেন। এই নিয়ে অবশ্য মোটেও গর্বিত নন তিনি। কারণ এই স্বভাব এই নেশার কারণ মনে করিয়ে দেয় তাঁর বিভীষিকাময় দিনগুলির কথা।

Global WEEKEND। Episode-153। সপ্তাহের বাছাইকৃত চমকপ্রদ ও রহস্যময় সংবাদ। গ্লোবাল টিভি বাংলা।

 

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *