পাকস্থলী ছাড়াই দিব্যি বেঁচে আছেন ম্যারাথন দৌঁড়বিদ!

পাকস্থলী ছাড়াই দিব্যি বেঁচে আছেন ম্যারাথন দৌঁড়বিদ!
পাকস্থলী ছাড়াই দিব্যি বেঁচে আছেন ম্যারাথন দৌঁড়বিদ! বলা হয়ে থাকে- পেট ঠিক তো দুনিয়া ঠিক কিংবা পেট ঠান্ডা তো দুনিয়া ঠান্ডা। এই পেটের দায়েই মানুষ দিনরাত কতো পরিশ্রম করে; রোজগার করে। খাটাখাটুনি করে অর্থ উপার্জন করে। এর একটাই কারণ আর তা হলো ক্ষুধা নিবারণ। ক্ষুধার জ্বালা সবারই আছে, কারণ সবারই পেট আছে।
পাকস্থলী ছাড়াই দিব্যি বেঁচে আছেন ম্যারাথন দৌঁড়বিদ!For More News Update:
মানুষের খাবার গ্রহণের উদ্দেশ্যই হচ্ছে শরীরে শক্তি সঞ্চয় করা। আর খাবার পরিপাক করে পাকস্থলী তারপর সে খাবার হজমের পর শরীর এর পুষ্টিগুণ থেকে শক্তি পায়। তবে কখনও কি ভেবে দেখেছেন, আপনি বেঁচে আছেন অথচ আপনার পেট নেই; পেটের ভেতরটা শূন্য!
হয়তো অবাক হবেন পেট ছাড়া আবার মানুষ হয় নাকি! হয়তো কেউই এমন এক বিস্ময়কর পরিস্থিতি কল্পনাতেও আনার সাহস পান না। তবে অবাক করা বিষয় হলেও সত্যি, ৩৬ বছর বয়সী জুয়ান ডুয়ালের পেটের ভেতরটি ঠিক এমনই, শূন্য। অর্থাৎ তার পেটের মধ্যে পাকস্থলী, কোলন বা মলাশয়, রেকটাম ও গলব্লাডার বা পিত্তথলী- এর কোনোটিই নেই। প্রায় ১৮ বছর ধরে তিনি এভাবেই বেঁচে আছেন। জানলে অবাক হবেন, এই মানুষটিই একজন জনপ্রিয় ম্যারাথন দৌড়বিদ।
পাকস্থলী ছাড়াই দিব্যি বেঁচে আছেন ম্যারাথন দৌঁড়বিদ!Visit our YouTube Chanel:
কি, বিশ্বাস হচ্ছে না, তাই তো? শুনুন তাহলে তার কাহিনি। জুয়ানের জীবন কাহিনী জানলে হয়তো আপনার চোখ বেয়ে পানি ঝরে পড়বে! জুয়ানের জন্ম স্পেনে। পরিবারসহ বাস করতেন তিনি সেখানে। মাত্র ১৩ বছর বয়সে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা কারণ হিসেবে সে জানতে পারে জুয়ান ‘ফ্যামিলিয়াল মাল্টিপল পলিপোসিস’ নামক এক বিরল ব্যাধিতে আক্রান্ত। এটি একটি জিনগত রোগ, যা পাকস্থলীর ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছিল ৯৯ দশমিক ৮ শতাংশ।
এই একই সমস্যার কারণে জুয়ানের দাদি এবং তার এক চাচা ‘কোলন অ্যাডেনোকার্সিনোমা’তে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এই সমস্যার কারণেই জুয়ানের বাবারও করা হয়েছিল অন্ত্রের অস্ত্রোপচার। এরপর ১৯ বছর বয়সে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করার পর জুয়ানের কোলন এবং মলদ্বার অপসারণের জন্য কঠিন অস্ত্রোপচার করা হয়। সেই তখন থেকে শুরু তার অন্য রকম জীবনের পথ চলা।
জুয়ানের বয়স যখন ২৮ বছর তখন তার অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। তার এই বিরল রোগটি তার পাকস্থলীকে প্রভাবিত করে ফেলে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শে সেটিও অপসারণ করে ফেলতে হয়। এই অস্ত্রোপচারের পর জুয়ানের শরীরের রক্তক্ষরণ অনেক বেড়ে যায়। বেঁচে থাকা অসম্ভব হলেও ভাগ্যের জোড়ে সার্ভাইভ করে টিকে থাকেন তিনি। যদিও তার কষ্ট সেখানেই শেষ হয়নি।
বেকার ভাতা পাচ্ছে কুকুর! গ্লোবাল নিউজ।