সেলফি থেকে ক্যান্সার ও বার্ধক্য! সময় থাকতে সতর্ক হন
‘সেলফি’ তুলতে ভালবাসেন। যখনই ইচ্ছা হয় একা বা প্রিয়জনদের সঙ্গে সেলফি তোলেন। কখনও পাউট, কখনও ভ্রু নাচিয়ে, কখনও অন্যদিকে তাকিয়ে নানা ভঙ্গিতে সেলফি তোলা চলতেই থাকে। এমন হলে সময় থাকতে সতর্ক হয়ে যান। না হলে স্মার্টফোনের আলো এবং বিকিরণের ফলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে, চামড়া কুঁচকে গিয়ে বিশ্রী চেহারা নিতে পারে। অকাল বার্ধক্যেরও কারণ হতে পারে এই অভ্যাস।
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা (ডারমাটোলজিস্ট) জানাচ্ছেন, সেলফির প্রতি এই রকম অত্যাধিক আকর্ষণের ফল অত্যন্ত ক্ষতিকারক হতে পারে আমাদের ত্বকের জন্য। বার বার সেলফি তোলার ফলে স্মার্টফোনের আলো ও রেডিয়েশন সরাসরি পড়ে মুখের উপর। এর ফলে ত্বকে বলিরেখাও দেখা দিতে পারে। যার ফলে অকালেই বয়স্ক দেখায়।
ব্রিটিশ চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ সিমন জোয়াকির মতে, মুখের কোন দিক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা দেখেই চিকিৎসকরা বলে দিতে পারেন আপনি ঠিক কোন হাতে ফোন ধরে সেলফি তোলেন। যারা খুব বেশি সেলফি তোলেন তারা এখনই সতর্ক হয়ে যান। কারণ, স্মার্টফোনের স্ক্রিন থেকে নির্গত নীল আলোও আমাদের ত্বকের পক্ষে যথেষ্ট ক্ষতিকর।
সিমনের সঙ্গে এক মত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওবাগি স্কিন হেলথ ইন্সটিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ জেন ওবাগিও। তিনি বলেন, ‘‘মোবাইল ফোন থেকে নির্গত ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন ত্বকের ডিএনএ’র গঠন নষ্ট করে দেয়। ফলে ত্বকে বলিরেখা ফুটে ওঠে। মুখের ত্বক হয়ে ওঠে নির্জীব, রুক্ষ। এছাড়াও, আলোর চৌম্বক ক্ষেত্রের প্রভাবে ত্বকের আদ্রতার ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়।’’
তাই অকালে চেহারায় বার্ধক্যের ছাপ পড়া রোধ করতে চাইলে মাত্রাতিরিক্ত সেলফি তোলা থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।